বাংলাদেশে ডোমেইন হোস্টিং বিজনেস করার উপায় কি ? Bangladesh Domain Hosting Business Rules



ডোমেন হোস্টিং বিজনেস করার জন্য এক্সপেরিয়েন্স এর প্রয়োজন খুব বেশি আছে বলে আমি মনে করি না। তবে শেখার আগ্রহটা রাখতে হবে। একেবারে শুরুর দিকে হলে রিসেলার হোস্টিং দিয়ে বিজনেস স্টার্ট করা যায়।

এতে একটা সুবিধা হলো ম্যাক্সিমাম কোম্পানি প্রাথমিক সেটাপ, কনফিগার করে দেয় আর সমস্যা হলে সাপোর্ট পাওয়া যায়। এভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়। যখন, বিলিং সিস্টেম নিজের থাকবে, WHM এর এক্সেস থাকবে তখন শেখাটা হবে প্র্যাকটিক্যাল।
আর যদি এ সম্পর্কে একটা সম্যক জ্ঞান আহরণের প্রয়োজন বোধ হয় তাহলে আপনি প্রথমে বিলিং সিস্টেম (whmcs preferred) নিয়ে জানতে পারেন। বিলিং সিস্টেম সেটাপ, কনফিগার, এর সাথে সার্ভার কানেক্ট, তারপর সার্ভার থেকে প্যাকেজ ক্রিয়েট করে WHMCS এ এড করা ইত্যাদি।
WHM (Web Host Manager) নিয়ে জানার চেষ্টা করবেন। এটা মেইন। তবে বিলিং সিস্টেম এর সাথে কানেক্ট করলে ম্যাক্সিমাম সময় বিলিং সিস্টেম থেকেই করতে হয়। WHM এ মাঝেমাঝে যাওয়ার প্রয়োজন হবে। অনেকটা ওয়ার্ডপ্রেস এবং সি-প্যানেল এর মত। সি-প্যানেল থেকে ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করার পর সি-প্যানেলে খুব কম ই যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। যদিও এই উদাহরণটা এপ্রোপ্রিয়েট না তারপরও সহজে বোঝানোর জন্য বললাম।
ক্লায়েন্টকে সাপোর্ট দিতে হবে প্রয়োজন হলে তাই সি-প্যানেল নিয়ে ঘাটাঘাটি করবেন। ফাইল ম্যানেজমেন্ট, ফ্রী এস এস এল কিভাবে ইনস্টল/কনফিগ করতে হয়, ডি এন এস ম্যানেজমেন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল, ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট। সেইসাথে ডোমেন প্রপাগেশন, নেমসার্ভার ক্রিয়েট, আপডেট, ডিলেট, হোস্টিং প্যাকেজ এর ফীচারস সম্পর্কে জানা ইত্যাদি বিষয় জানতে হবে। এছাড়া আরো অনেক বিষয় রয়েছে যা লিখতে গেলে বিশাল বড় রচনা হয়ে যাবে।
জানার আগ্রহ থাকলে সবকিছুই জানা হবে প্র্যাকটিক্যালি ধীরে ধীরে। এছাড়া সাপোর্ট দেয়ার জন্য ওয়েবসাইট রিলেটেড ইস্যুগুলো জানতে হবে।

ইস্যুগুলো হলোঃ

১. ব্যবসা করার জন্য যথেষ্ট মূলধন থাকতে হবে।
২. আপনাকে ডোমেইন হোস্টিং সার্ভিসে যথেষ্ট টেকনিক্যাল এক্সপার্ট হতে হবে।
৩. প্রফেশনাল ভাবে মার্কেটিং করতে হবে এবং এক্সপার্ট টেকনিক্যাল পার্সনদের নিয়োগ দিতে হবে।
প্রথমত একজন ব্যবসায়ী হিসেবে আপনার বুঝতে হবে। আপনি কোন ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট কাস্টমারকে দিচ্ছেন না।
ডোমেইন-হোস্টিং সার্ভিস সেল করলেন আর দায়িত্ব শেষ ব্যাপারটি এমন নয়।
এই ব্যবসা অন্য সব ব্যবসার মতন নয়। এই ব্যবসায় কাস্টমারদের সার্ভিসের নিরাপত্তা মাসের-পর-মাস, বছরের-পর-বছর দিতে হয়।
কাস্টমারদের সার্ভিসের মেয়াদ যতদিন থাকবে, ঠিক তত দিন সার্ভিসের যত্ন নিতে হবে। নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সার্ভিসের কোন সমস্যা হলে, সমাধান করে দিতে হবে। এছাড়াও কাস্টমার কে সার্ভিস দেওয়ার আগে যে প্রতিশ্রুতি দিবেন। সেই প্রতিশ্রুতি গুলো ঠিক ভাবে পালন করতে হবে।
উপরের কথাগুলোতে থেকে বুঝতে পেরেছেন। কাস্টমারদের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা ও সার্ভিস কোয়ালিটির সুনাম থাকতে হবে। তাহলেই এই ব্যবসায় ভালো করা সম্ভব।

আরো স্পেসিফিক কিছু জানার প্রয়োজন হলে আমাকে অথবা আমাদের পেজে মেসেজ দিয়ে রাখতে পারেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post